বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে জামায়াত নেতা রব্বানী হত্যা: সাবেক মন্ত্রীসহ ৭২জনের ‍বিরুদ্ধে মামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 04 September, 2024, 2:39 AM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথবিডি২৪:: ২০১৩ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের সংঘর্ষকালে জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ ৭২ জনের নামে মামলা (মামলার নম্বর ২৬৮/২০২৪ইং) দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিলেটের আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের চাচা বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান।
    আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট নুসরাত তাসনিম মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনাথ থানাকে। মামলায় প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী ছাড়াও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ থানার তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদসহ ৭২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের আরও ১৫০-২০০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
    মামলার এজাহারে প্রকাশ, ২০১৩ সালের ২০ মার্চ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের পূর্বঘোষিত হরতালকে কেন্দ্র করে বিশ্বনাথ উপজেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন সকালে বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে মিছিল চলাকালে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশের সহযোগিতায় মিছিলে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এতে গোলাম রব্বানীসহ অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। পরে, তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। বাদীর অভিযোগ, তার ভাতিজা গোলাম রব্বানীর হত্যাকান্ড ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা, যা সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছিল। মামলায় তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তির আবেদন জানান তিনি।
    মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহŸায়ক আলতাব হোসেন, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিন, পূর্ব জানাইয়া গ্রামের আবুল কালামের ছেলে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শামীম ওরফে চাকু শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ আছাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুবলীগ নেতা ও সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান সুইট, স্বেচ্চাসেবক লীগ নেতা রফিক আলী, আওয়ামী লীগ নেতা বশির ওরফে এংগেল বশির, আবদুন নূর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়া, বিশ্বনাথ পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী, সাহাব উদ্দিন, যুবলীগ নেতা রফিক আলী, নূর উদ্দিন উরফে সাজুর, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভেকেট গিয়াস উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা মকদ্দুস আলী, আইয়ুব আলী, কালা দুদু, সাইফুর রহমান, আলী আকবর মিলন, শাহজাহান সিরাজ, মিজাজুল হোসেন, এনামুল হক, আবদুশ শহিদ, সিরাজুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান দুলু, আহমদ শরীফ, আয়না মিয়া, রুনুু কান্ত দে, ফয়সল আহমদ, আরব আলী, শংকর চন্দ্র ধর, হিরন মিয়া, হোসাইন, জয়নুল আবেদীন, যুবলীগ নেতা আবদুল হক, দবির মিয়া, আফরুজ আলী, রুহেল খান, সুহেল মিয়া, ফয়জুল ইসলাম জয়, এরশাদ, এনামুল হক, মাতিন মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকন, আওয়ামী লীগ নেতা মকসুদ, ফিরোজ, দেলোয়ার হোসেন রুপন, আবদুর রউফ, মবশীর আলী, শামসুল হক, সুহেল খান, ইরন মিয়া, শেখ নূর মিয়া, রফিজ আলী, ফখর উদ্দিন, রফিক মিয়া, বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ (বিপি নং-৬৫৮৮০৫২২৪২), উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়া উদ্দিন উজ্জ্বল (বিপি নং ৭৫৯৬০১৬৬০৩), পুলিশ পরিদর্শক রুপক কুমার সাহা (বিপি নং ৬৫৮৯১১৫২৭৫), উপপরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম, কনস্টেবল আবু মুসা (কং/৬৬০), কবির হোসেন (কং/৪১২), টিটু সিংহ (কং/১১৫০), তৌফিক (কং/৬৮৭), মোস্তাক (কং/৩৩৮), আব্দুলাহ আল মামুন (কং/৭৮৭), শরিফ উদ্দিন (কং/৭৬৫), কাউছার (কং/৭৩০) ও কৃষ্ণ গোপাল (কং/৬৭)।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ